“””আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর ৭ উপায়”””

চাকরির ইন্টারভিউ দিতে হবে-ভাবলেই অনেকের বুক কাঁপতে শুরু করে। আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি থাকলেই এ সমস্যা হয়। আর আড়াল হয়ে যায় অনেক যোগ্যতা। চাকরিটা পাওয়ার সম্ভাবনাও নষ্ট হয়। সময়মতো নিজেকে সঠিকভাবে তুলে ধরার জন্য নিজের ওপর থাকা চাই অবিচল আস্থা। এ বিষয়ে কয়েকটি পরামর্শ:

১ প্রশ্নকর্তার সঙ্গে সংযোগ:
যিনি চাকরির সাক্ষাৎকার বা ইন্টারভিউতে আপনাকে প্রশ্ন করছেন, তাঁর চোখের দিকে সরাসরি তাকিয়ে জবাব দিন। তাঁকে খুশি করার চেষ্টা না করে মন সংযোগের ওপর গুরুত্ব দিন। তাহলেই আপনার আত্মবিশ্বাসের প্রমাণ পাবেন।
২.স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস:
ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে উত্তেজনায় দম আটকে রাখবেন না। স্বাভাবিক থাকুন। উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা করলে আমাদের মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহের ধরন পাল্টে যায়। এতে বোধশক্তি সাময়িক বিঘ্নিত হতে পারে। তাই ধীরে ধীরে গভীরভাবে শ্বাস নিন। এতে আপনার মস্তিষ্ক স্পষ্টভাবে চিন্তা করার সুযোগ পাবে।
৩ নিজের প্রতি সদয়
নিজের প্রতি ঘনিষ্ঠ বন্ধুর মতো মনোভাব বজায় রাখুন। মাথা থেকে যেকোনো জটিল ভাবনা ঝেড়ে ফেলুন। নিজে যেরকমই হোন, তা নিয়ে মনের মধ্যে কোনো ভয় পুষে রাখবেন না। যাঁরা ইন্টারভিউ নিচ্ছেন, তাঁরা তো আপনার ব্যাপারে তেমন কিছুই জানেন না। কাজেই নিজের যোগ্যতার ব্যাপারে গুছিয়ে তাঁদের কাছে বলাটা আপনারই দায়িত্ব।
৪ ধ্যান ও শিথিলায়ন
ইন্টারভিউতে যাওয়ার আগে মনটাকে স্থির, কেন্দ্রীভূত ও শান্ত করার জন্য ধ্যান বা শিথিলায়নের মতো পদ্ধতির অনুসরণ করতে পারেন। পরীক্ষার ঠিক আগে আগে অতীত ও ভবিষ্যতের সব ভাবনা বাদ দিয়ে কেবল বর্তমানের ওপর গুরুত্ব দিন। ইন্টারভিউতে কথা বলার সময় হড়বড় করে অনেক কিছু না বলে মাঝে মাঝে বিরতি নিন। একেকটা নীরব মুহূর্তকে কাজে লাগিয়ে আপনি পরিস্থিতিকে নিজের আয়ত্তে নিতে পারবেন।
৫ নিজের সাফল্যের কল্পনা
ইন্টারভিউর আগেই কল্পনা করুন, চাকরিটা আপনার হয়ে গেছে। এই ভাবনা আপনার আত্মবিশ্বাস বা নিজের প্রতি শ্রদ্ধা অনেকটা বাড়িয়ে দেবে। পরীক্ষাকে হেঁটে যাওয়া, প্রশ্নকর্তার সঙ্গে হাত মেলানো এবং তাঁদের প্রশ্নের জবাব দেওয়ার সময় আপনি এক ধরনের অন্যরকম বাড়তি মানসিক জোর পাবেন। আপনিই কাঙ্ক্ষিত পদটির জন্য সেরা প্রার্থী-এমন মনোবল রাখতে পারলে সাফল্যের সম্ভাবনা অনেকগুণ বেড়ে যাবে।
৬ প্রস্তুতি ও মহড়া
ইন্টারভিউতে কী কী প্রশ্নের মুখোমুখি হতে পারেন, আর সেগুলোর জবাবই বা কেমন হবে- সে সম্পর্কে আগে থেকে কিছুটা ধারণা রাখা ভালো। প্রয়োজনে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চর্চা করুন। নিজের যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, ব্যক্তিগত গুণাবলি ইত্যাদি সুন্দরভাবে সংক্ষেপে বর্ণনা করার কৌশল রপ্ত করতে হবে। এতে আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়বে।
৭ উদ্বেগের সঙ্গে বন্ধুত্ব
নিজের যাবতীয় দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তুলুন। আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর েÿত্রে এটি একটি অভিনব কার্যকর কৌশল। এভাবেই মনের নানারকম বাধাকে পোষ মানাতে হবে আপনাকে। ইন্টারভিউর আগে নিজেকে বলুন, ‘হে উদ্বেগ, আমার পুরোনো বন্ধু। তুমি এসেছ বলে ধন্যবাদ। আমি কৃতজ্ঞ তোমার কাছে!’ ব্যাপারটা অদ্ভুত শোনালেও কৌশল হিসেবে বেশ কার্যকর। নিজের দুশ্চিন্তাকে এভাবে হেসে উড়িয়ে দেখুন না, কী হয়। নিশ্চয়ই ইতিবাচক ভাবনার সুযোগ তৈরি হবে। গার্ডিয়ান অবলম্বনে:) 🙂 🙂
Collection : প্রথ আলো👌

Posted from —-Mohan’s All in ONE Home☺

One response to ““””আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর ৭ উপায়”””

  1. প্রত্যেকটি কথার ই অন্তনির্হিত গুরুত্ব রয়েছে।ভাইবা বোর্ড এর জন্য অবশ্যই কাজে দিবে।

    Like

Leave a Reply/আপনার মতামত জানান

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.