মাদ্রিদ, আমার গল্পঃ ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো

সাত বছর বয়সের একটা স্মৃতি আমার এখনও স্পষ্ট মনে আছে। স্মৃতিটা এতোটাই তাজা যে এখনও আমি যেন সেটা চোখের সামনেই দেখতে পাচ্ছি। এটা আমার পরিবারের গল্প।

তখন মাত্রই ‘আসল’ ফুটবল খেলা শুরু করেছ।

তার আগে আমি শুধু মাদেইরার রাস্তায় বন্ধুদের সাথে খেলতাম। রাস্তা বলতে আমি আসলেই ‘রাস্তা’ বুঝিয়েছি, কোনো খালি রাস্তা নয়। আমাদের কোনো গোলবার কিংবা সেরকম কিছু ছিল না। রাস্তায় কোনো গাড়ি আসলেই আমাদেরকে খেলা ছেড়ে রাস্তা থেকে সরে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো। প্রতিদিন একই কাজ করতে আমার কোনো সমস্যা ছিলো না, কিন্তু আমার বাবা ছিলেন এফসি এন্ডোরিনহার কিটম্যান- তিনি আমাকে প্রতিদিন বলতেন সেখানকার যুব দলে যোগ দেয়ার জন্য। আমি জানতাম এটা তাকে গর্বিত করে তুলবে, তাই আমি সেখানে গেলাম।

প্রথমদিনে এতো এতো নিয়ম-কানুন ঠিক বুঝে উঠতে পারিনি, কিন্তু আমার ভালোলাগা তৈরি হয়ে গিয়েছিল। আস্তে আস্তে সিস্টেমের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিলাম, জেতার মানসিকতাটাও নিজের মধ্যে তৈরি হতে লাগল। প্রত্যেক ম্যাচের সময় আমার বাবা সাইডলাইনে দাঁড়িয়ে আমার খেলা দেখতেন। তিনি ফুটবলকে দারুণ ভালোবাসতেন। কিন্তু আমার মা এবং বোনদের ফুটবলে তেমন কোনো আগ্রহ ছিল না।

তাই প্রত্যেক রাতে ডিনারের সময় আমার বাবা মা আরবোনদেরকে বারবার বলতেন আমার খেলা দেখতে যাওয়ার জন্য। যেন মনে হচ্ছিলো তিনি আমার প্রথম এজেন্ট। আমার মনে আছে প্রত্যেক ম্যাচ শেষে বাবা বাসায় এসে বলতেন, “ক্রিশ্চিয়ানো আজকে একটি গোল করেছে!” তখন তারা বলতেন, “ওহ, দারুণ!”

তারা ততটা আগ্রহীও হতো না, বোঝেনই তো?

পরেরদিন বাবা আবারো বাসায় এসে চিৎকার করে বলতেন, “ক্রিশ্চিয়ানো আজকে দুই গোল করেছে!” তাও তারা তেমন আগ্রহ দেখাতো না। শুধু বলতেন, “বাহ ক্রিস! দারুণ।”

আমি আর কিই বা করতে পারতাম। আমি শুধু গোল আর গোলই করে যেতাম। এক রাতে বাবা বাসায় এসে আবার চিল্লাচিল্লি করে বলতে লাগলেন, “ক্রিশ্চিয়ানো আজকে তিন গোল করেছে। সে আজকে অবিশ্বাস্য ছিলো। তোমাদের ওর খেলা দেখতে যাওয়া উচিত।”

কিন্তু তবু প্রত্যেক ম্যাচে সাইডলাইনে আমার বাবাকেই শুধু একা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখতাম। কিন্তু একদিন – ঘটনাটা আমার পরিস্কার মনে আছে- আমি মাঠে ওয়ার্ম আপ করছিলাম আর এদিক-সেদিক তাকাচ্ছিলাম। হটাতই বেঞ্চে আমার মা আর বোনদেরকে দেখতে পেলাম। তাদেরকে দেখাচ্ছিল….. কেমন করে তাদের অবস্থাটা বলি??খুব আরামে বসেছিল। তারা একসাথে বসে হাততালি কিংবা চিলাচিল্লি করছিল না। শুধু আমার দিকে তাকিয়ে হাত নাড়াচ্ছিলো, যেনো মনে হচ্ছিলো আমি কোনো প্যারেডে দাঁড়িয়ে আছি। তাদেরকে দেখেই মনে হচ্ছিলো এর আগে তারা আর কোনো ফুটবল ম্যাচ কখনো দেখেননি। কিন্তু তারা সেদিন সেখানে ছিল। আর এটাই আমার জন্য অনেক কিছু। আমার তখন খুব ভালো লাগছিল। এটা আমার কাছে আসলে বিশাল একটা পাওয়া ছিল। যেন মনে হচ্ছিলো কোন কিছু আমার মধ্যে সঞ্চারিত হয়েছে। আমি খুবই গর্বিত ছিলাম। সেই সময় আমরা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী ছিলাম না। মাদেইরার দিনগুলি ছিল কষ্টের। বড় ভাই কিংবা কাজিনদের ফেলে দেয়া পুরোনো জুতা দিয়েই আমি খেলার কাজটা চালিয়ে নিতাম। আপনি যখন খুব ছোট থাকবেন তখন টাকা-পয়সার ব্যাপার নিয়ে হয়তো খুব একটা ভাবতে চাইবেন না। সেই সময় আপনার কাছে সবচেয়ে বড় হলো কোন বিশেষ একটা অনুভূতি। তাই যেদিন আমার মা এবং বোনেরা প্রথম আমার খেলা দেখতে এসেছিল সেটা আমার জন্য বিশেষ কিছু। নিজেকে খুব সুরক্ষিত আর ভালোবাসায় সিক্ত মনে হয়েছিল। পর্তুগিজ ভাষায় এটাকে আমরা বলি,

menino querido da famíli.

আমি মাঝে মাঝেই নস্টালজিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ফেলে আসা জীবনের দিকে তাকাই। সে সময়টাকে খুব ছোট মনে হয়। ফুটবল আমাকে সবকিছুই দিয়েছে, কিন্তু এটা আমাকে খুব অল্প বয়সেই নিজের বাড়ি থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে। এগারো বছর বয়সের সময় আমি মাদেইরার দ্বীপ থেকে স্পোর্টিং লিসবনের একাডেমীতে চলে আসি। সেটা ছিলো আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময়। এখন ব্যাপারটা ভাবা হয়তো পাগলামি। যখন এটা লিখছি তখন আমার ছেলে, ক্রিশ্চিয়ানো জুনিয়রের বয়স সাত বছর। আমি কল্পনা করার চেষ্টা করছি ব্যাগ ট্যাগ গুছিয়ে জুনিয়রকে চার বছরের জন্য প্যারিস কিংবা লন্ডনে পাঠাতে আমার কেমন লাগবে! ব্যপারটি অসম্ভব আামার জন্য। আমি নিশ্চিত আমার পরিবারের জন্যও ব্যাপারটা সহজ ছিলো না। কিন্তু তখন আমার সামনে ছিল স্বপ্ন পূরণ করার হাতছানি।

তাই তারা আমাকে যেতে দিয়েছিল। একাডেমীতে থাকাকালীন আমি প্রায় প্রতিদিনই কাঁদতাম। যদিও আমি তখনো পর্তুগালে ছিলাম তবু মনে হতো আমি যেনো অন্য কোন দেশে চলে এসেছি। শহরের মানুষজনের কথা-বার্তাকে আমার একেবারে ভিন্ন ভাষার মনে হত। আশে-পাশের পরিবেশটাও ভিন্ন রকম ছিল। আমি কাউকেই চিনতাম না, এবং খুব একাকী বোধ করতাম। তখন আমার পরিবার প্রত্যেক মাসে আমাকে দেখতে আসার ব্যয় বহনের মত সামর্থ্যবান ছিল না, তাই তারা প্রত্যেক চার মাস পর পর আসত। এজন্য প্রত্যেকটা দিনই তাদের কথা মনে করে খুব কষ্টের সাথে পার করতে হত আমাকে। ফুটবলটাই আমাকে চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। আমি জানতাম, আমি মাঠে যা করি তা হয়তো একাডেমীর অনেক ছেলেরা করতেও পারে না। আমার মনে আছে প্রথম যেদিন শুনেছিলাম এক ছেলে আমাকে দেখিয়ে আরেকজনকে বলছিল, “দেখেছ সে আজকে কি করেছে? এই ছেলেটা একটা বিস্ট!” আমি প্রায়ই এমন কথা শুনতে থাকতাম। এমনকি কোচদের কাছ থেকেও। কিন্তু তবু আমাকে প্রায়ই শুনতে হতো, “ছেলেটা অনেক ছোটো!” আর এটা সত্যি ছিলো। আমি খুবই লিকলিকে গড়নের ছিলাম। আমার কোন মাসল ছিল না। তাই এগারো বছর বয়সেই আমি একটা সিদ্ধান্ত নেই। আমি জানতাম আমার অনেক প্রতিভা আছে, তাও আমি অন্য সবার চেয়ে সবচেয়ে বেশি কঠোর পরিশ্রম করে যাব। ছোট বাচ্চার মতো খেলা কিংবা আচরণ করা আস্তে আস্তে বাদ দিয়ে দিব। আমাকে এমনভাবে ট্রেনিং নিতে হবে যেন আমি বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়ে পরিণত হতে পারি। আমি জানিনা এই অনুভূতিটা কিভাবে আমার ভেতরে আসল। হয়তো এটা আমার ভেতরেই ছিলো। এমন এক ক্ষুধা যা কখনো শেষ হবার নয়। “যখন আপনি হেরে যাবেন তখন আপনার জয়ের ক্ষুধা বেড়ে যাবে। কিন্তু আপনি যখন জিততে থাকবেন তখন এই জয়ের ক্ষুধা আরো বাড়তে থাকবে। মনে হবে আপনি যেনো খুব সামান্যই খেয়েছেন”। – ব্যাপারটাকে আমি এভাবেই ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করি। রাতের বেলায় একাডেমীর ডরমিটরিতে চুপিচুপি জিম করতে যেতাম। আস্তে আস্তে আমি খুব বড় আর খুব দ্রুত হতে লাগলাম। মাঠে নামলে একসময় যারা আমার লিকলিকে গড়ন নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করত তাদের মুখ বন্ধ হয়ে গেল। আমার বয়স যখন ১৫। তখনকার একটা স্মৃতি আমার এখনো মনে আছে। একদিন ট্রেনিংয়ের সময় হটাত আমি আমার টিমমেটদের দিকে ঘুরে তাকিয়ে বললাম, “আমি একদিন বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় হব!” তারা আমার কথা শুনে খুব হেসেছিল। তখন পর্যন্ত আমি স্পোর্টিংয়ের প্রথম একাদশে জায়গা করে নিতে পারিনি। তবু আমার সেই বিশ্বাসটা ছিলো। আর সেই বিশ্বাস থেকেই আমি কথাটা বলেছিলাম।

১৭ বছর বয়সে যখন আমি আমার প্রফেশনাল ক্যারিয়ার শুরু করি তখন থেকেই আমার মা’র উত্তেজনাজনিত অসুখের শুরু হয়। তিনি পুরোনো এস্তাদিও জোসে আলভালাদেতে এসে আমার খেলা দেখতে আসতেন। কিন্তু বড় ম্যাচ গুলোর সময় অতিরিক্ত উত্তেজনার কারণে মাঝে মাঝে অজ্ঞান হয়ে যেত। ডাক্তাররা তখন শুধু আমার ম্যাচের জন্য মা কে সিডাটিভ প্রেসক্রাইব করতো। আমি মজা করে তাকে বলতাম, “মনে আছে যখন তুমি আমার ফুটবল খেলাটাকে তেমন একটা পাত্তা দিতে না?” আমি আস্তে আস্তে আরো বড় কিছুর স্বপ্ন দেখতে শুরু করলাম। আমি জাতীয় দলের হয়ে খেলতে চাইতাম, এবং আমি চাইতাম ম্যানচেস্টারের হয়ে খেলতে। কারণ তখন আমি টিভিতে সারাদিন প্রিমিয়ার লীগের খেলা দেখতাম। প্রিমিয়ার লীগের খেলাগুলোর গতিময়তা আর ফ্যানদের চ্যান্টিং আর অপূর্ব সুন্দর সব গান আমাকে মুগ্ধ করেছিল। পরিবেশটা আমাকে দারুণ ভাবে আকর্ষণ করেছিল। তাই আমি যখন ম্যানচেস্টারের খেলোয়াড় হই এটা আমার জন্য গর্বের ব্যাপার ছিল কিন্তু অবশ্যই আমার পরিবারের জন্য আরও বেশি গর্বের ব্যাপার ছিল। প্রথম দিকে ট্রফি জেতাটা আমার কাছে খুব ইমোশনাল ব্যাপার ছিল। আমার মনে আছে যখন আমি ম্যানচেস্টারের হয়ে প্রথম চ্যাম্পিয়নস লীগ জিতলাম তখন এটা অন্যরকম এক অনুভূতি ছিলো।

আমার প্রথম ব্যালন ডি’অরের ক্ষেত্রেও কথাটা সমানভাবে প্রযোজ্য। এটাই তো আসলে স্বপ্ন, তাই না? আমি সবসময় মাদ্রিদকে পছন্দ করতাম, এবং নতুন কোনো চ্যালেঞ্জ চাচ্ছিলাম। আমি মাদ্রিদের হয়ে ট্রফি জিতে এবং সকল রেকর্ড ভেঙে মাদ্রিদের একজন কিংবদন্তী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলাম। গত আট বছরেরও বেশি সময় ধরে আমি মাদ্রিদের হয়ে অসাধারণ সব জয় পেয়েছি। কিন্তু সত্যি কথা বলতে কি, মাদ্রিদে আসার পর থেকে ট্রফি জেতাটা আমার কাছে অন্য আরেক রকমের অনুভূতির জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে গত দুই বছরে। মাদ্রিদের হয়ে আপনি যদি সবকিছু না জিতেন তাহলে লোকে এটাকে ব্যর্থতা হিসেবে গণ্য করবে। এটাই আমার গ্রেটনেসের চাহিদা। এটাই আমার কাজ। কিন্তু আপনি যখন বাবা হবেন, তখন তা একেবারে আলাদা এক অনুভূতি। এক অনুভূতি যা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না। এই কারণেই মাদ্রিদে আমার সময়টুকু খুব স্পেশাল কেটেছে। আমি শুধুএকজন ফুটবলারই না, অামি একজন বাবাও। আমার ছেলের সাথে একটা মুহূর্ত আমার সবসময় পরিস্কার ভাবে মনে থাকবে। যখনই সেই মুহূর্তটা নিয়ে ভাবি খুব ভাল লাগা কাজ করে। এটা ছিল কার্ডিফে গত চ্যাম্পিয়নস লীগ ফাইনালের রাত। ফাইনালের পর কার্ডিফের মাঠে আমরা সবাই ছিলাম। সে রাতে আমরা ইতিহাস রচনা করেছিলাম। ম্যাচের শেষ বাঁশি সময় আমি যখন মাঠে ছিলাম তখন আমার মনে হচ্ছিল যে আমি পৃথিবীর সবাইকে একটা বার্তা দিচ্ছি। কিন্তু যখন আমার ছেলে মাঠে ঢুকলো আঙুলের তুড়ির মতো আমার নিজের মধ্যকার সব অনুভূতি পাল্টে গেলো। মার্সেলোর ছেলেকে নিয়ে সে আমার চারপাশে ঘুরছিল। আমরা একসাথে ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছি। হাতে হাত রেখে পুরো মাঠ চক্কর দিয়েছিলাম। আমি বাবা না হওয়া পর্যন্ত এই আনন্দের সাথে পরিচিত ছিলাম না। সেই সময় আমার মনের মধ্যে এতোগুলো অনুভূতি কাজ করছিলো যে সেগুলোকে আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। আমি শুধু একটা ঘটনার অনুভূতির সাথেই একে তুলনা করতে পারি, মাদেইরাতে মাঠে ওয়ার্ম আপের সময় স্ট্যান্ড থেকে আমার মা এবং বোনেরা আমার খেলা দেখার। সেলিব্রেশনের জন্য বার্নাব্যুতে ফেরার পর ক্রিশ্চিয়ানো জুনিয়র আর মার্সেলেইতো সকল ফ্যানদের সামনে সারা মাঠ জুড়ে খেলছিলো। জুনিয়রের বয়সে মাদেইরার রাস্তায় খেলার চেয়ে ভিন্ন প্রেক্ষাপট ছিলো দৃশ্যটা। আশা করি আমার ছেলের মধ্যেও আমার মতো অনুভূতি গুলো কাজ করে।

Menino querido da família.

মাদ্রিদের হয়ে ৪০০ ম্যাচ খেলার পর জেতাটাই আমার মূল লক্ষ্য। আমার মনে হয় আমি এর জন্যেই জন্মেছি। কিন্তু জেতার পর অনুভূতিটা একদম বদলে যায়। যেনো মনে হয় জীবনের নতুন কোনো অধ্যায় শুরু করছি। আমার নতুন বুটে কয়েকটা স্পেশাল মেসেজ লেখা আছে। প্রতিদিন টানেল দিয়ে বের হওয়ার আগে জুতার ফিতা বাঁধতে বাঁধতে আমি লেখাগুলো একবার করে পড়ি।

এটা একধরনের ফাইনাল রিমাইন্ডারের মতো… এক ধরনের মোটিভেশন… সেখানে লেখা ‘ছোট্টবেলার স্বপ্ন’! -*El sueño del niño* .

এক বালকের স্বপ্ন! আশা করি ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছেন। সর্বশেষে, অবশ্যই- আমার মিশন যা ছিলো সেটাই থাকবে। আমি মাদ্রিদের হয়ে আরো অনেক রেকর্ড ভাঙতে চাই। যতগুলো ট্রফি সম্ভব ততগুলোই জিততে চাই। এটাই আমার প্রকৃতি। কিন্তু মাদ্রিদের সময়কালীন যে জিনিসটা আমার কাছে সবচেয়ে বেশি দামী সেটা হলো, এক সময় আমি ৯৫ বছর বয়সের বুড়ো হয়ে যাবো, নিজের ছেলের হাতে হাত রেখে এই বার্নাব্যুর মাঠে একজন চ্যাম্পিয়নের মতো হেটে চলার অনুভূতি বর্ণনা করব। আমি আশাবাদী আমি অবশ্যই সেই গল্প শোনাবো।

মূল আর্টিকেলঃ Madrid, My Story by Cristiano Ronaldo

বঙ্গানুবাদ: আসিফ বিন আলম (সিয়াম)

Leave a Reply/আপনার মতামত জানান

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.