কিভাবে ব্যাক্তিগত উন্নতি দক্ষতার সাথে ত্বরান্বিত করবেন?

১। পর্ন সাইটে সময় নষ্ট করা বন্ধ করুন।

২। স্রোতে না ভেসে, নিজের মতো করে চলুন। তাই করুন—যা ভালবাসেন।

৩। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার

কমিয়ে দিন।

৪। কেবল সাফল্যের গল্প থেকে শিখবেন না, ব্যর্থতার গল্প থেকে শিখুন “কেন তারা ব্যর্থ হয়েছিল?” উত্তরটা খুঁজে তার থেকে শিখুন।

৫। অফিসের মিটিং এ ভালো উপস্থাপক হওয়ার চেষ্টা করুন। বিশ্বাস করুন, এটি আপনাকে সফল ক্যারিয়ারে পৌঁছে দিবে।

৬। আবেগ নিয়ন্ত্রণ করুন এবং সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করুন।

৭। ভিশন এবং স্বপ্নের পিছে ছুটুন। সাফল্য আপনার পিছে ছুটতে শুরু করবে।

৮। সৃজনশীল হওয়ার চেষ্টা করুন। আপনার সৃজনশীল আইডিয়াগুলো লিখে রাখার জন্য একটা ডায়েরি ব্যবহার করুন।

৯। আপনার ক্যারিয়ার নিয়ে একটি চমৎকার এবং প্রোডাক্টিভ ভিডিও বানিয়ে আপনার ইউটিউব অ্যাকাউন্টে আপলোড করুন।

১০। বাস্তববাদী হন। জীবন সহজ হয়ে যাবে।

১১। কাজের সময় স্মার্টফোনটি শুধুমাত্র কল করার জন্য ব্যবহার করুন, অন্য কোনও উদ্দেশ্যে, যেমন—গেমিং বা নোটিফিকেশন চেক করার জন্য নয়।

১২। দৈনিক রুটিন বানিয়ে যথাযথভাবে মেনে চলুন।

১৩। ৫-৬ টি ভাষা শিখুন।

১৪। সেলফ হেল্প বই পড়ুন, যেমন— দ্য পাওয়ার অফ নাউ—একার্ট টোল, দ্য মঙ্ক হু সল্ড হিজ ফেরারি—রবিন শর্মা, আউটলায়ার্স—ম্যালকম গ্লাডওয়েল।

১৫। অশান্তি বা কলহপূর্ণ সম্পর্কে জড়িয়ে না থেকে নিজের ক্যারিয়ারে মনোযোগ দিন এবং প্লান করুন।

১৬। নিজ কর্মক্ষেত্রের সেরা ব্যক্তিদের সাথে কাজ করুন এবং তাদের কাছ থেকে শিখুন।

১৭। সবসময় সময়মতো অফিসে যান।

১৮। বিপরীত লিঙ্গের (বা সম লিঙ্গের) পিছে ছোটা এবং খুশী করার চেষ্টা বন্ধ করুন।

১৯। বস্তুবাদী হবেন না।

২০। কারও থেকে কিছুই প্রত্যাশা করবেন না।

২১। সর্বদা নিজের শতভাগ শক্তিপ্রয়োগ করার চেষ্টা করুন।

২২। বলিষ্ঠ অভ্যাস তৈরি করুন।

২৩। সহকর্মী এবং অধীনস্থদের নাম মনে রাখুন।

২৪। অফিস রাজনীতি বুঝে চলুন।

২৫। রহস্যময় হন এবং কখনই সব কিছু প্রকাশ করবেন না।

২৬। মাইক্রোসফট এক্সেল—অ্যাডভান্স লেভেল শিখুন। এটি বিশ্বের সবচেয়ে কম মূল্য দেয়া দক্ষতা হলেও এখনো সবচেয়ে শক্তিশালী দক্ষতা।

২৭। যোগাযোগ দক্ষতা এবং দরদস্তুর দক্ষতা বাড়িয়ে নিজের নেতৃত্বের দক্ষতার উন্নতিসাধন করুন।

২৮। প্রোগ্রামিং, ওয়েব ডিজাইন এবং গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখুন।

২৯। যেকোনো একটি আকর্ষণীয় শখ বেঁছে নিন, যেমন—গিটার বাজানো, ফটোগ্রাফি, ব্লগিং। এটি আপনার ক্যারিয়ারের গতি বাড়িয়ে দিবে।

৩০। আরও ভাল শ্রোতা হন এবং নতুন নতুন লোকের সাথে পরিচিত হোন।

৩১। ক্রমাগত উন্নতির মনোভাব এবং আজীবন শেখার মনোভাব রাখুন।

৩২। সুশৃঙ্খল থাকুন।

৩৩। প্রতিদিন মেডিটেশন করুন।

৩৪। অসংখ্য প্রশিক্ষণ, কর্মশালায় অংশ নিন।

৩৫। নিজের একাডেমিক বিষয়ে সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করুন।

৩৬। নিজেকে ভালবাসুন এবং স্বাস্থ্যের যত্ন নিন।

৩৭। ইন্টারনেটে কম সময় ব্যয় করুন।

৩৮। ভিজ্যুয়ালাইজেশন করুন।

৩৯। সৃজনশীল ব্যক্তিদের সাথে সময় কাটান।

৪০। স্বেচ্ছাসেবীর কাজ করুন।

৪১। মানুষকে সাহায্য করুন।

৪২। কৌতূহলী হন এবং সারাক্ষণ প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন।

৪৩। মার্শাল আর্ট শিখুন। এটি আপনাকে শক্তিশালী ব্যক্তি হতে এবং দৃঢ় মানসিকতা অর্জনে সাহায্য করবে।

৪৪। খুব সকালে বিছানা ছাড়ুন এবং ১ কিলোমিটার দৌড়ান।

৪৫। হাতের কাজ শেষ করতে কখনও বিলম্ব করবেন না।

৪৬। হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ অনুযায়ী— নতুন কিছু শেখার এবং অনুশীলন করার দ্রুততম উপায়গুলির মধ্যে একটি হল— কীভাবে সেটি করা যায় তা অন্যকে শেখানো। তাই, যা শিখেন তা আপনার দল, আপনার ম্যানেজার বা সহকর্মীদের সাথে ভাগাভাগি করুন।

৪৭। এমনভাবে আচরণ করার চেষ্টা করুন যেন—আপনি আত্মবিশ্বাসী এবং সবকিছু পরিচালনা করতে পারেন।

৪৮। ইতিবাচক হন এবং নিজের ভুল থেকে শিখুন।

৪৯। উচ্চাভিলাষী হন, বড় চিন্তা করুন এবং নিজের কাজকে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে নিন।

৫০। আগামী ১০ বছরের একটি ক্যারিয়ার প্লান বানিয়ে নিন। ১০ বছর পরে নিজেকে কোথায় দেখতে চান? যখন প্লান থাকবে, তখন বুঝতে পারবেন দুর্দান্ত সাফল্য অর্জনের জন্য আপনাকে ঠিক কী করতে হবে।

সর্বদা মনে রাখবেন—”জীবন হচ্ছে আপনার সাথে যা ঘটে তার ১০ ভাগ এবং আপনি সেগুলোর প্রতি কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখান তার ৯০ ভাগ” —চার্লস আর সুইন্ডল


কৃতজ্ঞতা : Shovan Chowdhury

Leave a Reply/আপনার মতামত জানান

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.